Description
সাবেকুন্নাহার সনি,বুয়েট কেমি-৯৯। সনি আমাদের হারিয়ে যাওয়া বোন অথচ যেই সময়ে ও হারিয়ে গেছে,সেই সময়টাতে ওর থাকার কথা ছিল বাবা মা,ভাই আর বন্ধুদের ভালোবাসায় সারাক্ষণ মশগুল থাকতে।
২০০২ সালের ৮জুন বুয়েট ক্যাম্পাসে সনি নিহত হওয়ার পর গত ১৯বছর সনির হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে সোচ্চার সনির বাবা এখন ক্যান্সার আক্রান্ত। সনির বাবা হাবিবুর রহমান ব্লাড ক্যান্সার(নন হজকিন লিম্ফোমা) এ আক্রান্ত। উত্তরার আহসানিয়া মিশন ক্যান্সার হাসপাতালে হাবিবুর রহমান চিকিৎসাধীন আছে জানিয়ে রানা বলেন “বাবার ব্লাড ক্যান্সার (নন হজকিন লিম্ফোমা) শনাক্ত হয়েছে। ডাক্তাররা তাকে কেমোথেরাপির ছয়টি ডোজ নিতে বলেছেন।
“প্রথম ডোজ নেওয়ার পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন বাবা। এখন তার নিউমোনিয়া হয়েছে। নল দিয়ে খাওয়াতে হচ্ছে।
“ নিউমোনিয়া থেকে সেরে ওঠার পর হাবিবুর রহমানের ক্যান্সার চিকিৎসার পরের ধাপ শুরু হবে বলে জানান তার ছেলে। তবে এখন তাদের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে চিকিৎসার খরচ।
“চিকিৎসার খরচ মেটানোর সামর্থ্য হারাচ্ছি আমারা। আশা করছি সরকারসহ শুভানুধ্যায়ীদের পাশে পাওয়া যাবে।“
রানা জানান, তার বাবার কথা বলতে কষ্ট হলেও মাঝেমধ্যে বড় মেয়ে সনির কথা বলেন।
“যাদের গোলাগুলিতে সনির মৃত্যু হল, ১৯ বছরেও তাদের শাস্তি হল না বলে এখনও আফসোস করেন।“
সনির বাবার আরো ৫টা কেমোথেরাপি দেয়া লাগবে।প্রতিটা কেমোথেরাপি দেয়ার সময় কেমো ও ওষুধ পত্র,হাসপাতালে থাকা বাবদ এক লাখ টাকার উপর চলে যায়।ইতিমধ্যে গত সেপ্টেম্বর ২০২২ থেকে অদ্যাবধি ৮লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।আরো ৫টা কেমোথেরাপি দিতে গেলে আনুমানিক ৮থেকে ১০লাখ টাকা খরচ হবে।কেমোথেরাপি দেয়ার সময় হাসপাতালে দীর্ঘ সময় থাকা লাগে।যেহেতু প্রথম কেমো দেয়ার পর শারীরিক অবস্থা বেশ খারাপ হয়ে গেছে,তাই পুরোপুরি বলা যাচ্ছে না সামনে মেডিকেল ট্রিটমেন্ট এ কত টাকা খরচ হবে।যদি খুব খারাপ অবস্থায় চলে যায়,হয়তো দেশের বাইরেও নিতে হতে পারে সেক্ষেত্রে।